যে কারনে মাহতাব উদ্দিন কল্লোলকে জনগন মুন্সীগঞ্জের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান

 শেখ মোহাম্মদ রতন, সমকালীন মুন্সীগঞ্জ:-২৫-০২-১৯:

মাহতাব উদ্দিন কল্লোল- জন্ম মুন্সীগঞ্জ শহরের শ্রীপল্লী গ্রামে। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। মাহতাব উদ্দিন কল্লোল উপজেলা জেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে গণসংযোগ বৃদ্ধি করেছেন। পোস্টার-ব্যানারের মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে তার। সামাজিক ও রাজনীতির কারণে তিনি শহরে অত্যন্ত পরিচিত মুখ।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হাতে গড়া সংগঠক ও তাঁর জীবন-যৌবনের উত্তাপে শুদ্ধ সংগঠন ও তার সোনার বাংলাদেশ বিনির্মানের কর্মী গড়ার পাঠশালা শিক্ষা, শান্তি ও পতাকাবাহী সংগঠন ছাত্রলীগের একজন সংগ্রামী অকুতভয় সাবেক গর্বিত কর্মী। ১৯৭৯ সালের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে যে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৮৪ সালে ম্ন্সুীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। পরে ১৯৮৭ সালে ম্ন্সুীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন রাজপথের সংগ্রামী অকুতভয় সফল এই নেতা। পরবর্তিতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মুন্সীগঞ্জ শহর শাখার সাংগঠনিক সস্পাদক নির্বাচিত হন এবং তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৩ সালে মুন্সীগঞ্জ শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলার ছাত্রদের নেতৃত্ব দিয়ে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আহবায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়।

রাজপথের সংগ্রামী অকুতভয় এ নেতা ১৯৮৬ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা অবস্থায় তার মা পরলোক গমন করেন। তার মায়ের মৃত্যুর পরে পেরোলে ৩ ঘন্টার জন্য পুলিশের কড়া প্রহরায় মায়ের জানাযা ও দাফন শেষ করে পুনরায় কারাগারে প্রেরন করা হয় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের এই নেতা মাহতাব উদ্দিন কল্লোলকে রাজনৈতিক জীবনে আপোষহীন রাজনীতি করার কারনে প্রতিপক্ষের মিথ্যা মামলায় একাধীবার গ্রেফতার ও কারাগারে হাজতবাস সহ বিভিন্ন প্রকার নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে তাকে।

২০০১ সালে নির্বাচনোত্তর সময় কালে জামায়াত ইসলাম ও বিএনপি’র সন্ত্রাসীদের দআরা শিশু কন্যাসহ স্বস্ত্রীক নির্যাতনের স্বীকার সহ অমানবিক নির্যাতন ও স্বর্নালঙ্কার-টাকা লুটপাট করা হয়। ঐ সময়কালে ব্যাংকের চাকরি থেকে বহিস্কার সহ নানাধি নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে।

তার পারিবারিক রাজনৈতিক পরিচয়
মাহতাব উদ্দিন কল্লোলের পরিবার সবসময় আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত আছেন। তার পিতা স্থানীয় আওয়ামীলীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তার সহধর্মীনি-মোরশেদা বেগম লিপি মুন্সীগঞ্জ জেলা যুব মহিলা লীগের আহŸায়ক হিসেবে নিষ্ঠা-সফলতার সাথে সংগঠন চালিয়ে যাচ্ছেন। ছেলে মেহেরাব রক্তিম মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ১ নং কার্যকরী সদস্য পদে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মাহতাব উদ্দিন কল্লোল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে ও বাজারের শতাধীক ছোট-বড় দোকানে, চায়ের ষ্টলে এবং স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিসহ সকল শ্রেনী-পেশার মানুষদের কাছে গিয়ে তাকে ভোটের মাধ্যমে সমর্থন ও দোয়া প্রার্থনার মধ্য দিয়ে গনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

মাহতাব উদ্দিন কল্লোল এসময় নির্বাচনি গনসংযোগে সদর উপজেলার সাধারণ উদ্দেশ্যে ওয়াদাবদ্ধ হয়ে বলেছেন সদর উপজেলার জনগন তথা আপনারা যদি আমাকে আপনাদের সু-চিন্তিত রায় দেন তাহলে আমি আজীবন শুধু আপনাদের উন্নয়নে কাজ করে যাব এটা আমার প্রধান লক্ষ। তাছাড়া আমাকে যদি আপনাদের কাছে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে যোগ্য প্রার্থী মনে করেন তাহলে আমাকে ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন এটাই আপনাদের কাছে আমার দাবী। আমি আশা করি আপনাদের সমর্থন-ভোট ও দোয়া থাকলে আমি সদর উপজেলা নির্বাচণে বিপুল ভোটে জয় অর্জন করতে পারবো এবং সদর উপজেলার ছোট-বড় সকল সমস্যার সমাধান করতে পারবো। শহর আওয়ামী লীগের এই সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহতাবউদ্দিন কল্লোল এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

তবে তিনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। সে জন্য তার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। মাহতাবউদ্দিন কল্লোল আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন,  দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি তাকে দলীয় মনোনয়ন দেন তাহলে তার নির্দেশে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় নিরলস ও ক্লান্তিহীন ভাবে জনগনের পাশে থেকে উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাবো। এতে আমার উপর যত বাধাই আসুক না কেন উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমি কোনদিন পিছু-হটবো না। সাধারণজনগনকে নিয়ে উপজেলায় উন্নয়নের মাধ্যমে পরিবর্তন করে দৃষ্টান্ত রেখে যাব।