শেখ মোহাম্মদ রতন, সমকলীন মুন্সীগঞ্জ:-১৬-০১-১৯
মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়ার ২দিনেও অবস্থান সনাক্ত হয়নি মাটি বোঝাই ট্রলারের। এদিকে নিখোঁজ রয়েছে ঐ ট্রলারের ২০ শ্রমিক। বুধবার উদ্ধার অভিযানে অংশনেয় নৌ পুলিশ, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিআইডাব্লিউটিএর সদস্যরা।
মঙ্গলবার দুপুরে ডুবে যাওয়া নৌযান সনাক্তকারী বিশেষ জাহাজ অগ্নিশাসক অভিযান কাজে অংশ নেয়। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত-৩টার দিকে চাঁদপুরের মতলব উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা সিমান্তবর্তী কালিপুরা এলাকা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্যাংকারের ধাক্কায় ৩৪ শ্রমিক নিয়ে ডুবে যায় মাটি বোঝাই ট্রলারটি। ট্রলারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে ১৪ জন সাতঁরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ রয়েছে ২০ শ্রমিক। শাহ আলম নামের একজন সাঁতরে তীরে উঠা এক শ্রমিকের বরাত দিয়ে গজারিয়া নৌপুলিশ জানায়, মাটি নিয়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দিকে যাচ্ছিল তারা।
নিখোঁজ ২০ জনের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় মিলেছে। ১৭ জনের বাড়ি পাবনার ভাংগুড়া উপজেলায় এবং একজনের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাাপাড়ায়। তারা হলেন- পাবনার ভাংগুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের মালা গ্রামের গোলাই প্রামাণিকের ছেলে সোলেমান হোসেন, জব্বার ফকিরের ছেলে আলিফ হোসেন ও মোস্তফা ফকির, গোলবার হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন-১, আব্দুল মজিদের ছেলে জাহিদ হোসেন, নূর ইসলামের ছেলে মানিক হোসেন, ছায়দার আলীর ছেলে তুহিন হোসেন, আলতাব হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন-২, লয়ান ফকিরের ছেলে রফিকুল ইসলাম, দাসমরিচ গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে ওমর আলী ও মান্নাফ আলী, তোজিম মোল্লার ছেলে মোশারফ হোসেন, আয়ান প্রামাণিকের ছেলে ইসমাইল হোসেন, সমাজ আলীর ছেলে রুহুল আমিন, মাদারবাড়িয়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আজাদ হোসেন, চাপুর গ্রামের আমির খান ও আব্দুল লতিফের ছেলে হাচেন আলী এবং উল্লাপাড়া উপজেলার গজাইল গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রহমত আলী।
নৌ পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি মাহবুবুর রহমান উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে বুধবার বিকালে সাংবাদিকদের বলেন, রাতে দূর্ঘটনা জন্য সঠিক স্থানটি চিহ্নিত করতে সমস্যা হচ্ছে, তবে তীরে ওঠা শ্রমিকদের দেখিয়ে দেওয়া স্থানটির ১কিলোমিটার জায়গা জুড়ে উদ্ধার অভিযান চলছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলবে। প্রয়োজনে উদ্ধার কাজে বিশেষ টিম যুক্ত করা হবে। আমাদের সবরকম ট্যাকনিকেল সাপোর্ট রয়েছে, এ স্থানে নদীর গভীরতা অনেক , যদি ট্রলারটি সনাক্ত করতে পারি তবে ভিতরে কারো মরদেহ থাকলে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।