শেখ মোহাম্মদ রতন:
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম দেওভোগ এলাকার ভূমিদস্যু আলমগীর সরদারের (৪৫) বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে।
সদর থানায় চাঁদা দাবীর এ অভিযোগ করেন জেলা শহরের মাঠপাড়া এলাকার মো. আবু সাঈদ ইমরান খান (৩৯)। তিনি ওই এলাকার মৃত তকিল উদ্দিন খানের ছেলে।
ভূমিদস্যু আলমগীর সরদার পশ্চিম দেওভোগ এলাকার মৃত মালেক সরদারের ছেলে।
চাঁদা দাবীর অভিযোগের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে অভিযুক্ত আলমগীর সরদারকে খুজে পায়নি পুলিশ। তবে তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী মো. আবু সাঈদ ইমরান খান জানিয়েছেন, তিনি পশ্চিম দেওভোগ এলাকার বটতলা সংলগ্ন ১০ শতাংশ জায়গা কিনেছেন। অতি সম্প্রতি তিনি সেই জায়গার সীমানা প্রাচীর দিয়ে মাটি ভরাটের কাজ করছিলেন।
ভুক্তভোগী মো. আবু সাঈদ ইমরান খান অভিযোগ করে বলেন, গত শুক্রবার (৯ জুন) সকাল ১০ টার দিকে তার কেনা জায়গায় মাটি ভরাটের কাজ চলাকালে ভুমিদস্যু আলমগীর সরদার ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো ৫-৬ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনি কাজে বাঁধা দেয়।
এ সময় আবু সাঈদ ইমরান খানের কাছে দাবীকৃত টাকা না দিলে কাজ বন্ধ থাকবে বলে তাকে ও শ্রমিকদের হত্যার হুমকি প্রদান করে। একই সঙ্গে গালমন্দ ও আগ্নেআস্ত্র উচিয়ে প্রকাশ্যে হত্যার ভয় দেখায়। এ অবস্থায় ভয়ে তারা ওই জায়গায় মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভুগী অভিযুক্ত আলমগীর সরদার বলেন, এলাকার গন্যমান্য অনেকেই জানেন আমি রাস্তা বাবদ আবু সাঈদ ইমরানের কাছে ৫০ হাজার টাকা পাই। একটা বিচারে সে ৫০ হাজার টাকা দিবে বলেও স্বীকার করেছিলো।
তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার(৯ জুন) আমার টাকার জন্য তাকে বলেছি দেওয়াল নির্মান না করার জন্য। তখন আবু সাঈদ ইমরান বলেছে টাকা দিয়ে দিব, আমি দেওয়াল নির্মান করি। অথচ আমার বিরুদ্ধে সে মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছে এলাকায়।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মুন্সীগঞ্জ সদর থানার এসআই ফাইজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযোগকারী মো. আবু সাঈদ ইমরান খানকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম আসামীকে গ্রেপ্তার করতে। সেখানে গিয়ে অভিযুক্ত আলমগীর সরদারকে পাওয়া যায়নি। তবে আমরা তাকে গ্রেপ্তারের লক্ষে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে আলমগীরের মোবাইল ফোন নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। পরে সদর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ইমরানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তার জায়গায়।#