শেখ মোহাম্মদ রতন, সমকালীন মুন্সীগঞ্জ:-৩০-০৬-১৯:
মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধাকে (২৮) শনিবার রাতে জেলা শহরের বাজার থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে এদিন সন্ধায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়। সদর উপজেলার চর কেওয়ার ইউনিয়নের টরকি গ্রামের রেহানা বেগম তার পরিবারের উপর হামলা-মারধর করা উল্লেখ করে মামলাটি করেন।
মামলার বাদি রেহানা বেগম জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধাসহ ১০-১২ জন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনি গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বাদীর বাড়িতে গিয়ে এলোপাথারি মারধর করে নগত টাকা, স্বর্নালংকার চুরিসহ মামলার ১৪৩, ১৪৮, ৩২৩, ৩৮০, ৫০৬, ১১৪ধারায় বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ মামলায় মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধাকে প্রধান করে আরো ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধাকে থানা থেকেই মুক্ত করার জন্য মুন্সীগঞ্জের শীর্ষ আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মী ও তাদের সাঙ্গ-পাঙ্গরা বিভিন্ন লবিং গ্রুপিংসহ মামলার বাদি রেহানা বেগম ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নেবার জন্য জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির প্রভাবশালী আত্বীয়-স্বজন ও ছাত্রলীগসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গ-সংগঠনের লোকজন বিভিন্ন ভয় ভীতি সহ প্রান-নাশের হুমকি প্রদান করছে।
থানা-পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধাকে এর আগেও পুলিশ কয়েকবার গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু জেলার আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী শীর্ষ নেতারা পুলিশ প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে তাকে মুক্ত করে নিয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ পাভেল বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধার মামলা কোন রাজনৈতিক মামলা নয়। তবে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। এ ঘটনায় যেন বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পায় আমি প্রশাসনের কাছে সেই আশাই করছি।
তবে জেলা পুলিশ সুপার মো.জায়েদুল আলম জানিয়েছেন, সদর থানায় মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধার বিরুদ্ধে মামলা হবার কারণে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এখানে কোন প্রকার তদবির, লবিং, গ্রুপিং চলবে না। সে যত বড় নেতা ও সন্ত্রাসীই হোকনা কেন। অপরাধিরা তাদের শাস্তি পাবেই। আইন তার নিজের গতিতে চলবে।
এ প্রসঙ্গে সদর থানার ওসি (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন জানান, এলাকার স্থানীয় ভাবে একটি পরিবারকে দির্ঘ্যদিন যাবত হামলাসহ বিভিন্ন ভাবে ভয়ভিতি ও বাড়িতে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন করতো বলে বাধ্য হয়ে সদর উপজেলার রেহানা বেগম তার পরিবারের জান-মাল রক্ষার্থে এই মামলা করতে বাধ্য হয়েছে। এ ঘটনায় তাকে রোববার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে।