মুন্সীগঞ্জের ৬টি উপজেলার ৭৫টি হাটবাজারের করুন দশা : ক্রেতা-বিক্রেতাদের দুর্ভোগ চরমে

শেখ মোহাম্মদ রতন, তুষার আহমেদ, সমকালীন মুন্সীগঞ্জ:

উন্নয়ন ও সংস্কারের অভাবে মুন্সীগঞ্জের ছয়টি উপজেলার হাটবাজারগুলো শোচনীয় হয়ে পড়েছে। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নানা সংকটের মধ্যেও ব্যবসায়ীরা নিয়মিত টোল দিতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার ক্ষেত্র বিশেষে নির্ধারিত অঙ্কের চেয়ে বেশি টোল আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জ জেলা সদর, টঙ্গিবাড়ী, লৌহজং, শ্রীনগর, সিরাজদীখান ও গজারিয়া উপজেলায় ৭৫টি হাটবাজার রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সড়কের পাশে বা চৌরাস্তাগুলোতে নতুন নতুন হাটবাজার ও ছোট-বড় পান-সিগরেট ও চায়ের ষ্টল বসছে। প্রতি বছর জেলার ৭৫টি হাটবাজর থেকে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়। কিন্তু বাজারগুলোর যথাযথ সংস্কার ও উন্নয়নের প্রতি সংশ্নিষ্ট প্রশাসনের কোনো নজর নেই। অধিকাংশ হাটবাজারে স্থান সংকট এখন প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থান সংকট থাকায় বিক্রেতারা বাজার সংলগ্ন এবং কোলাহলমুখর এলাকার সড়কগুলোতে পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, অবৈধ দখল ও অপরিকল্পিতভাবে লিজ দেওয়ার কারণে জেলার হাটবাজারগুলোতে স্থান সংকট দেখা দিয়েছে। অবৈধ দখলে থাকা সরকারি জায়গায় কেউ ইমারত নির্মাণ করে, কেউ টিনের ঘর তৈরি করে দিনের পর দিন ব্যবসা করে যাচ্ছেন। বর্তমানে জেলার ৭৫টি হাটবাজারেই স্থান সংকটসহ অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্নতা ও খানাখন্দে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে।

লৌহজংয়ের ইউএনও মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান বলেন, হাটবাজার ইজারা দেওয়ার পর সংশ্নিষ্ট কমিটি বাজার উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে থাকে। উপজেলা প্রশাসন ইজারা থেকে প্রাপ্ত টাকার ৪ শতাংশ বাজার উন্নয়ন কাজের জন্য সংরক্ষণ করে। উপজেলার ঘোলতলী বাজার উন্নয়নের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান, জেলার ৬টি উপজেলায় থাকা ৭৫টি হাটবাজার সরকারিভাবে ইজারা দেওয়া হয়। ইজারা দেওয়ার শর্তাবলিতে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সংশ্নিষ্ট ইজারাদারের। বিষয়টি উপজেলার ইউএনওদের জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।