শেখ মোহাম্মদ রতন, সমকালীন মুন্সীগঞ্জ:
গত ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন পর্যন্ত পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার আজ শেষ দিন।
টানা দুই বছর বঞ্চিত মুন্সীগঞ্জের প্রায় ৩ হাজার জেলে পরিবারকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এবার ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিলেও এখনও তা পাননি জেলেরা।
এখনও বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ না করায় জেলেদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
চলতি মাসের শুরুতেই বরাদ্দ দেওয়া চাল বিতরণের কথা থাকলেও মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার আজ শেষ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত জেলেরা চাল পাননি।
তবে মৎস্য অফিস ও জেলেরা জানিয়েছেন, এবার মুন্সীগঞ্জ জেলার জেলেরা চাল বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়টি জানেন না বলেই জীবিকার তাগিদে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরতে বাধ্য হচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত দুই বছর দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারিভাবে জেলেরা চাল বরাদ্দ পেলেও মুন্সীগঞ্জ তালিকাভুক্ত না হওয়ায় মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাসহ ৬টি উপজেলার জেলেরা বঞ্চিত হয়েছেন।
এবারই প্রথম বরাদ্দ পেলেও সংশ্নিষ্টদের অবহেলার কারণে এখনও পর্যন্ত চাল পায়নি জেলেরা। তবে চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজ চলমান থাকায় চাল বিতরণে বিলম্ব হচ্ছে বলে সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আরো জানা যায়, গত দুই বছর মৎস্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সরকারিভাবে চাল বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হলেও এবার মুন্সীগঞ্জ জেলার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
তাই মা ইলিশ ধরার সঙ্গে জড়িত প্রায় ৩ হাজার জেলে পরিবারের জন্য ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয় সরকার।
জেলার ৬টি উপজেলার জেলেরা পদ্মা ও মেঘনা নদীতে মাছ ধরে থাকে। এর মধ্যে ইলিশের প্রজনন মৌসুমকে সামনে রেখে গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এরপর থেকে ইলিশ ধরার সঙ্গে জড়িত থাকা জেলে পরিবারগুলো আর্থিক অনটনে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে বিপাকে পড়ে মানবেতর দিনযাপন করছে বলে জানা গেছে।
জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আমানউল্লাহ মিয়া জানান, পদ্মা-মেঘনা পাড়ে জেলেদের নৌকাগুলো নোঙরে রয়েছে। গত ২২ দিন ধরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেদের সঞ্চিত টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা এখন সংসার চালাতে আর্থিক সংকটে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, গত দুই বছর সংশ্নিষ্টদের ভুলে মুন্সীগঞ্জ জেলায় ভিজিএফের চাল বরাদ্দ পাননি। এবারই প্রথম মুন্সীগঞ্জ জেলার জেলেদের চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
তবে জেলেদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরিতে সংশ্নিষ্টরা নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়ায় এখনও চাল বিতরণ করা যায়নি। তবে গত শুক্রবারের মধ্যে চাল দেওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছিল।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জসহ দেশের ২৯টি জেলার ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭০৯ জন জেলেকে ৭ হাজার ৯১৪ টন চাল বরাদ্দ দেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ জেলায় ৭৩ দশমিক ৪২ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
মুন্সীগঞ্জ জেলার ৬টি উপজেলায় ৯ হাজার ৮১৩ জন মৎস্যজীবীর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার জেলে ইলিশ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
পরপর দুই বছর বঞ্চিত মুন্সীগঞ্জের প্রায় ৩ হাজার জেলে পরিবারকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এবার ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিলেও এখনও তা পাননি জেলেরা।
চলতি মাসের শুরুতেই বরাদ্দ দেওয়া চাল বিতরণের কথা থাকলেও মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত জেলেরা চাল পাননি।
গত ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞার আজ ২২ অক্টোবর শেষ দিন। এখনও বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ না করায় জেলেদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অন্যদিকে মৎস্য অফিস ও জেলেরা জানিয়েছেন, এবার মুন্সীগঞ্জ জেলার জেলেরা চাল বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়টি জানেন না বলেই জীবিকার তাগিদে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরতে বাধ্য হচ্ছেন।
গত দুই বছর দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারিভাবে জেলেরা চাল বরাদ্দ পেলেও মুন্সীগঞ্জ তালিকাভুক্ত না হওয়ায় জেলার ৬টি উপজেলার জেলেরা বঞ্চিত হয়েছেন। এবারই প্রথম বরাদ্দ পেলেও সংশ্নিষ্টদের অবহেলার কারণে এখনও পর্যন্ত চাল পায়নি জেলেরা।
তবে চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজ চলমান থাকায় চাল বিতরণে বিলম্ব হচ্ছে বলে সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, গত দুই বছর মৎস্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সরকারিভাবে চাল বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হলেও এবার মুন্সীগঞ্জ জেলার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাই ইলিশ ধরার সঙ্গে জড়িত প্রায় ৩ হাজার জেলে পরিবারের জন্য ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। জেলার ৬টি উপজেলার জেলেরা পদ্মা ও মেঘনা নদীতে মাছ ধরে থাকে।
এর মধ্যে ইলিশের প্রজনন মৌসুমকে সামনে রেখে গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর থেকে ইলিশ ধরার সঙ্গে জড়িত থাকা জেলে পরিবারগুলো আর্থিক অনটনে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে বিপাকে পড়ে মানবেতর দিনযাপন করছে বলে জানা গেছে।
জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আমানউল্লাহ মিয়া জানান, পদ্মা-মেঘনা পাড়ে জেলেদের নৌকাগুলো নোঙরে রয়েছে। গত ২২দিন ধরে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জেলেদের সঞ্চিত টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা এখন সংসার চালাতে আর্থিক সংকটে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, গত দুই বছর সংশ্নিষ্টদের ভুলে মুন্সীগঞ্জ জেলায় ভিজিএফের চাল বরাদ্দ পাননি। এবারই প্রথম মুন্সীগঞ্জ জেলার জেলেদের চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। তবে জেলেদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরিতে সংশ্নিষ্টরা নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়ায় এখনও চাল বিতরণ করা যায়নি। তবে শুক্রবারের মধ্যে চাল দেওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জসহ দেশের ২৯টি জেলার ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৭০৯ জন জেলেকে ৭ হাজার ৯১৪ টন চাল বরাদ্দ দেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ জেলায় ৭৩ দশমিক ৪২ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। জেলার ৬টি উপজেলায় ৯ হাজার ৮১৩ জন মৎস্যজীবীর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার জেলে ইলিশ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক শায়লা ফারজানা জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে মুন্সীগঞ্জের মাছ ধরার জেলেদের বরাদ্দকৃত চাল কেন যথাসময়ে জেলেরা পায়নি তা ক্ষতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গহন করা হবে।