‘ব্লাক ডায়মন্ডে’র ওজন ৩৬ মণ

সমকালীন মুন্সীগঞ্জ ডেক্স, ২০ জুলাই ২০২০:

গায়ের রং কুচকুচে কালো। দৈর্ঘ্য ৯ ফুটের বেশি। উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি। সাড়ে চার বছর ধরে গরুটিকে লালন-পালন করছেন মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সোনারং এলাকার মো. শরিফ ঢালী। গায়ের রঙের কারণে তিনি গরুটির নাম দেন ‘ব্লাক ডায়মন্ড’।

‘ব্লাক ডায়মন্ডে’র ওজন ৩৬ মণ। করোনা পরিস্থিতিতে কোরবানির পশুর হাট কতটুকু জমবে তা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও ব্লাক ডায়মন্ডকে ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান গরুর মালিক।
ব্লাক ডায়মন্ডই জেলার সবচেয়ে বড় গরু বলে ধারণা করছেন খামারিরা। গরুটি দেখতে প্রতিদিন অনেকে ভিড় করছেন শরিফ ঢালীর বাড়িতে।

শরিফ ঢালী জানান, সারে চার বছর আগে সরকারিভাবে ব্রাহমা জাতের বীজের মাধ্যমে তার পালিত গাভী থেকে জন্ম নেয় ব্লাক ডায়মন্ড। জন্মের পর গরুটির ওজন ছিল প্রায় দুই মণ। এরপর দেশীয় পদ্ধতিতে এটাকে মোটাতাজা করার প্রক্রিয়া শুরু করেন।

ব্লাক ডায়মন্ডের খাদ্য তালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, খড়, গমের ভূষি ও ধানের কুরা, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া, তৈল বীজের খৈল, ছোলা, আলু, কলা, কাঁঠাল ও খুদের ভাত । সব মিলিয়ে গরুটি প্রতিদিন গড়ে ৮০০ টাকার প্রায় এক মণ খাবার খায়।

শরিফ ঢালী বলেন, ‘এ ধরনের গরু লালন-পালন অনেকে খরচ। পরিবারের একজন সদস্যের মতো করে আমরা গরুটি পালন করেছি। তাকে পালতে অনেক শ্রম ও অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। তাকে বড় করতে প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।’

কাউসার আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তি মাদারিপুর থেকে এসেছেন গরুটি দেখতে। তিনি বলেন, ‘এক আত্মীয়র মাধ্যেমে জানতে পারি এখানে এত বড় একটা গরু আছে। তাই দেখতে এসেছি। দর-দামে মিললে গরুটি কিনতে পারি।’

মো. নাছির হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘যারা গোবাদি পশু পালন কিনতে চায় শরীফ ঢালী তাদের অনুসরণীয় হতে পারেন। তিনি দেখিয়েছেন একটি পশুর মাধ্যেমে কীভাবে লাখপতি হওয়া যায়। সাবলম্বী হতে অনেক গরুর দরকার নেই। ব্লাক ডায়মন্ডের মতো ২-১টা হলেই যথেষ্ট।

টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ভেটেরিনারি সার্জন মো. কামরুল হাসান সৈকত বলেন, ‘কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে যে সব পশু প্রাকৃতিক উপায়ে মোটা তাজা করা হয়েছে তার মধ্যে শরিফ ঢালীর ব্লাক ডায়মন্ডটি সবচেয়ে বড়। আশা করছি, মালিক প্রত‌্যাশীত দামে গরুটি বিক্রি করতে পারবেন।’

তিনি জানান, ব্রাহমা জাতের কয়েকটি পশু পালনের মাধ্যেমে যে কেউ আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে।