শেখ মোহাম্মদ রতন, সমকালীন মুন্সীগঞ্জ:-২৫-১২-১৮
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, ব্যালট ভোটারদের আমানত, তা যেন খেয়ানত না হয়। প্রিজাইডিং অফিসার, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকের জন্য যেই নীতিমালা আছে তা ভালোভাবে আয়ত্ত করবেন। সৎ ব্যক্তি থাকলে কেউ অন্যায় আবদারের সাহস পাবে না ।
প্রিজাইডিং অফিসারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, টাকা-পয়সা খেলাম না, এটি কোনও সততা না। আইন মেনে চলা, অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি কিনা এটিও সততার মধ্যে পড়ে।
আপনি সৎ থাকলে কেউ আপনার কাছে অবৈধ আবদারের সাহস পাবে না। এটি একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, এ ধরনের নির্বাচনে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে।’
মঙ্গলবার শহরের কে. কে গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউশনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগে কেউ কোনও তদবির করেনি। নির্বাচন কমিশনে অনেক অভিযোগ পাচ্ছি। কিন্তু মুন্সীগঞ্জ থেকে সে রকম কোনও অভিযোগ পাইনি।’
তিনি আরো বলেন, একটি কেন্দ্রের সব শৃঙ্খলা নির্ভর করে প্রিজাইডিং অফিসারের ওপর। যেসব কেন্দ্রে ভোট বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে ভোটগ্রহণ হবে কিনা। কমিশন এ ব্যাপারে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।
ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ‘দুটি আদালত কাজ করবে। একটি মোবাইল কোর্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালনা করবেন, আরেকটি কোর্ট পরিচালনা করবেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এই দুটি আদালত তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত দেবে। পাশে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আছে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সর্বোপরি সেনাবাহিনী।’
কোন ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ভোটাররা মোবাইল নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। অনেক সময় ভোটাররা ভোট দেওয়ার ছবি তুলে প্রার্থীকে প্রদর্শন করে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেগেটিভ মেসেজ ছড়ায়। প্রার্থীদের প্রার্থী হিসাবে দেখবেন। ভয় দেখাচ্ছি না, স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। এবারের নির্বাচনে কোনও প্রকার ছাড় দিতে চাই না।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য আয়োজিত এই সভায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।