শেখ মোহাম্মদ রতন, সমকালীন মুন্সীগঞ্জ:-২২-০৭-১৯:
পদ্মাসেতুর জাজিরা প্রান্তে সেতুর ভায়াডাক্টে (সেতুর গোড়া) রোডওয়ে গার্ডার বসানোর কাজ চলছে। বাংলাদেশে প্রথম কোনো সেতুতে এসব গার্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে।
রোববার বিকেল ৬টা থেকে জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক্টে প্রথম সুপার ‘টি-গার্ডার’টি সেতুর এন-২০ ও এন-২১ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী ২১ নম্বর স্প্যানে সফলভাবে বাসানোর কাজ শুরু হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টের ৪৪টি পিলার ও ৪৪টি স্প্যানে এসব গার্ডার বসবে।
পদ্মাসেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ মজুমদার শাওন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এসব গার্ডার ৩৮ মিটার লম্বা, উচ্চতা ১.৮ মিটার। এসব গার্ডারের প্রস্থ ২ মিটার থেকে ২.৯ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এসব গার্ডার শুধুমাত্র সড়ক পথের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। জাজিরা প্রান্তেই প্রথম বসানোর মাধ্যমে শুরু হয়েছে কাজটি। জাজিরা প্রান্তে ২৩৪টি ও মাওয়া প্রান্তে ২০৪টি টি-গার্ডার বসানো হবে।
সেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ মজুমদার শাওন আরো জানান, পদ্মাসেতু এখন দুই কিলোমিটারের বেশি দৃশ্যমান হয়েছে ১৪টি স্প্যান বসিয়ে। পুরো সেতুতে দুই হাজার ৯৩১টি রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। আর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে ২ হাজার ৯৫৯টি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা।