শেখ মোহাম্মদ রতন, সমকালীন মুন্সীগঞ্জ:-১১-১২-১৯:
পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১৮তম স্প্যান ‘৩-ই’ সেতুর ১৭ ও ১৮ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো পৌনে তিন কিলোমিটার। ১৭তম স্প্যান বসানোর ১৫ দিনের মাথায় বসানো হলো ১৮তম স্প্যানটি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে সেতুর ১৭ ও ১৮ নম্বর পিলারের ‘৩-ই’ স্প্যানটি বসানো হয়। এতে পদ্মা সেতু ২৭০০ মিটার অর্থাৎ প্রায় পৌনে কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। ১৭তম স্প্যান বসানোর মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে এই স্প্যানটি বসানো হয়। পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যে ও ৩ হাজার ১৪০ টন স্প্যানটিকে বহন করে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেন। সকাল ১০টা ২০ মিনিটের মধ্যেই নির্ধারিত পিলারের সামনে গিয়ে পৌঁছায়।
প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর মোট ৪২টি পিলারের মধ্যে বর্তমানে কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৩৫টির। সেতুর ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ইতিমধ্যে ৪১০টি রেল স্ল্যাব বসানো হয়েছে। ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১২৫টি স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মা সেতুর মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে চীন থেকে মাওয়ায় এসেছে ৩৩টি স্প্যান। এর মধ্যে ১৭টি স্প্যান স্থায়ীভাবে বসে গেছে। একটি অস্থায়ীভাবে একটি মোট সেতুতে ১৮টি স্প্যান বসানো হলো।
এদিকে সেতুর বাস্তব কাজের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ এবং সেতুর আর্থিক অগ্রগতি ৭৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।