সমকালীন মুন্সীগঞ্জ ডেক্স:
পূর্ব বিরোধের জেরে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আওয়ামীলীগ সদস্য মো. সোহরাব খান (৫৫) খুন হয়েছেন। এসময় নিহতের ছেলে জনি খান (৩২) জখম হন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বেলা সারে ১২ টার দিকে জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড় বাজারস্থ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ঘটনার পর দিঘীরপার বাজার ও আশপাশ এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তদন্ত কেন্দ্রের সামনে শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত কেন্দ্রের মাঠে উত্তেজিত জনতা অবস্থান নেন। তাদের উপস্থিতিতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ঘন্টাখানেক সময় ধরে অবরুদ্ধ থাকে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য সোহরাব খানের সঙ্গে দিঘীরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আসলাম হোসেন ভুলু হালদার ওরফে ভোলা মেম্বারের অর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। ওই বিরোধ মিমাংসার নামে উভয় পক্ষকে বসার জন্য তদন্ত কেন্দ্রে ডাকেন সেখানকার ইনচার্জ শাহ-আলম। এতে আগে থেকেই সাবেক ওই ইউপি সদস্য ও তার ২ ছেলে রিয়াম হালদার ও রিজভী হালদার পুলিশ তদন্ত থেকে উপস্থিত থাকে। এরপর বেলা সারে ১২ টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সোহরাব খান ও তার ছেলে সেখানে আসেন। তারা দিঘীরপাড় পুলিশ কেন্দ্রে প্রবেশ করতেই প্রতিপক্ষ সাবেক ইউপি সদস্য ভুলু হালদার ওরফে ভোলা মেম্বার ও তার ২ ছেলে তাদের উপর হামলে পড়ে। এসময় বাবা সোহরাব ও ছেলে জনিকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। পরে স্থানীয়রা বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবা সোহরাবকে মৃত ঘোষনা করেন ও ছেলে জনি খানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, নিহতের মাথা ও বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আহত জনির মাথা, বুকে ও পেটে ধারালো অস্ত্রের কোপের আঘাত রয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল হোসেন সরকার।
তিনি বলেন, ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র কয়েকটি থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনের নাম জেনেছি। তাদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান শুরু করেছেন।