শেখ মোহাম্মদ রতন, জুয়েল রানা ও তুষার আহমেদ, সমকালীন মুন্সীগঞ্জ:-০৫-০২-১৯:
এক বছরে দুই ডাকাত নিহত হওয়ায় মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় আবারও ডাকাত আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এতে পুলিশ-প্রশাসনের প্রতি সাধারণ মানুষের অনাস্থা অনাস্থা বিরাজ করছে।
সর্বশেষ গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার আউটশাহী ইউপির শিলিমপুর গ্রামে গৃহকর্তার গুলিতে এক ডাকাত নিহত ও ২ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এর আগে ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বেলুয়া গ্রামে ডাকাতির সময় গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে বাবুল হোসেন নামের এক ডাকাত নিহত হয়। নিহত বাবুল ঢাকার পোস্তগোলা এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে। ওই ঘটনায় টঙ্গিবাড়ী থানায় অজ্ঞাতপরিচয় তিনশ’ গ্রামবাসীর নামে হত্যা মামলা করে পুলিশ। এ ছাড়া একই ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ১৪ থেকে ১৫ জন সংঘবদ্ধ ডাকাতকে আসামি করে পৃথক একটি মামলা করা হয়। এ ঘটনায় ১১ মাস ১৮ দিনের মাথায় টঙ্গিবাড়ীর শিলিমপুর গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় গৃহকর্তার গুলিতে অপর এক ডাকাত নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটল।
অন্যদিকে, আউটশাহী ইউপির শিলিমপুর গ্রামে গৃহকর্তা ও ডাকাতদের গোলাগুলিতে এক ডাকাত নিহত ও দু’জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় টঙ্গিবাড়ী থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
এদিকে, ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টার দিকে ৮ থেকে ১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল মাইক্রোবাস নিয়ে টঙ্গিবাড়ীর বেলুয়া গ্রামে লুটপাট চালায়। ওইদিন এক ডাকাত নিহত হয়।
টঙ্গিবাড়ী থানার ওসি মো. শাহ মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন জানান, ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টার দিকে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল শিলিমপুর গ্রামের সিকদার বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কবির লাবলু সিকদারের ভবনের কলাপসিবল গেটের তালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এ সময় গোলাম কবির লাবলু সিকদারের ছেলে কনু সিকদার বাধা দিলে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এ সময় কনু সিকদার ডাকাত বলে চিৎকার করলে মুক্তিযোদ্ধা ও গৃহকর্তা গোলাম কবির লাবলু সিকদার পিস্তল নিয়ে এগিয়ে এলে ডাকাত ও গৃহকর্তার মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাশের একটি বিলের জমি থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে। ডাকাতদের গুলিতে গৃহকর্তার ছেলে কনু শিকদার, ডাকাত ইদ্রিস মাতবর গুলিবিদ্ধ হয়।