শেখ মোহাম্মদ রতন, ২২ এপ্রিল ২০২৩ খ্রি:
ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। টানা এক মাস সিয়াম সাধনার পরে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে মুন্সীগঞ্জ শহরের উত্তর বাগমামুদালী পাড়ার বাসিন্দারা।
‘এসো মিলি ভাতৃত্ত্বের টানে’ স্লোগানকে সামনে রেখে এই এলাকার সবাই এক রঙের, এক রকমের পাঞ্জাবি পরে ঈদগাঁহ মাঠে একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন।
শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের মুন্সীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মাঠজুড়ে করা প্যান্ডেল ভর্তি ছিল মানুষ। উত্তর বাগমামুদালী পাড়া জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মোহাম্মদ জাকারিয়া খুতবা পাঠের পর দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন।
উত্তর বাগমামুদালী পাড়ার বাসিন্দাদের আয়োজনে ছোট বড়, ধনি-গরিব সবাই বিভেদ ভুলে এক রকম পাঞ্জাবি পরে ঈদের জামাতে অংশ নেন। এক রকম পাঞ্জাবি পরে একত্রে নামাজ আদায় করতে পেরে এলাকার বাসিন্দারা খুশি।
নামাজ শেষে কুলাকুলিসহ সবাই কুশল বিনিময়ে, ছবি তোলা ও মিষ্টি বিতরণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন।
ঈদের নামাজ আদায় শেষে আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে এলাকার বাসিন্দা আলআমিন ও সালেহিন বলেন, আমরা এলাকার সবাই একত্রে ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরেছি। এটা আল্লাহর বড় নেয়ামত বলে আমি মনে করি। আমরা যেনো ঈদ ছাড়াও সবার সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে পারি আল্লাহর কাছে এটাই চাই।
উত্তর বাগমামুদালী পাড়া জামে মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ বখতিয়ার হাসান তারিক বলেন, এই ঈদের জামাতে এত লোক আগে কখনো হয়নি। এলাকার সবার সঙ্গে ঈদ নামাজ আদায় করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।
এলাকার বাসিন্দা সুজন বলেন, কয়েক বছর মতো এবারও আমরা একত্রে ঈদের নামাজ পড়ছি। তাই অনেক আনন্দ লাগছে’।
মাঠে ঈদের নামাজ পড়তে পারা নিয়ে উচ্ছ্বসিত এলাকার বাসিন্দা সূজন, রতন, শুভন, রুবেল, মাকসুদ, রিগান, প্রমিজ, আদর, রানা, জুয়েল, রুবেলসহ আরো অনেকে। তারা বলেন, এবার অনেক বড় আকারে জামাত হয়েছে। এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না।
মসজিদ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, এলাকার ছোট বড় সকল মুসলমান ভাইদের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরে বেশ আনন্দ লাগছে। ভবিষ্যতেও যেনো একত্রে থাকতে পারি সেজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
অ্যাডভোকেট সাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ছেলেদের নিয়ে নামাজ আদায় করলাম। খুব ভালো লাগছে। এলাকার অনেকেই আমার সন্তানের বয়সী। আমরাও বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কাজে সবাই সবার সাথে এক হয়ে কাজ করে যাবো। এটাই অনেক আনন্দের।’
এলাকাবাসী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা উত্তর বাগমামুদালী পাড়া এলাকার সকলে মিলে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে পেরেছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।
বাগমামুদালী পাড়ার বাসিন্দা সাংবাদিক শেখ মোহাম্মদ রতন বলেন, বছরের এই দিনে আমরা একসাথে মিলিত হয়েছি। আমাদের প্রতিটি দিন যেন ভাতৃত্ব ও সম্প্রীতির হয়।
পরিশেষে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসীরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঈদে সবার এমন মিলন মেলা নিজেদের আনন্দ ও উচ্ছ্বাস জানান উপস্থিত সবাই সবার কাছে।