আগ্নেআস্ত্র-মাদক বিক্রেতা মুন্সীগঞ্জের তালিকাভুক্ত বিএনপির শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘ফেনু জনি’ এখন আতঙ্কের নাম

 শেখ মোহাম্মদ রতন, সমকালীন মুন্সীগঞ্জ:-৩১-০৫-১৯:

মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জসহ আন্ত:জেলা আগ্নেআস্ত্র-মাদক সম্রাট, মুন্সীগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ সন্ত্রাসী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনির তালিকাভুক্ত আসামি মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মাকাহাটি এলাকার জনি মল্লিক ওরফে ‘ফেনু জনি’ আন্ত:জেলার গডফাদার হিসেবে এক নামে তাকে চিনে। বর্তমানে ‘ফেনু জনি’ নারায়ণগঞ্জে থেকেই তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের মাকাহাটি এলাকাসহ জেলার শহর ও শহরতলীতে মাদক  ও আগ্নেআস্ত্রের রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে চৌকশ গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছেন। এই ফেনু জনি বর্তমানে পুলিশের ধরাছোয়ার বাইরে থেকেই এসব নশকতার মতো অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।

বিএনপির শীর্ষ সন্ত্রাসী এই ‘ফেনু জনি’ মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মাকাহাটি এলাকার আতোয়ার রহমান ওরফে আতা মল্লিকের ছেলে। জনি মল্লিক ওরফে ‘ফেনু জনি’ মুন্সীগঞ্জ সদর থানা বিএনপির যুগ্ন-সম্পাদক।

জনি মল্লিক ওরফে ‘ফেনু জনি’কে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের কথা জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আনিত এসব অভিযোগ মিথ্যা , ভিত্তিহিন ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বলে এই প্রতিবেদককে সাফ জানিয়েছেন।

জেলার একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, বর্তমানে মুন্সীঞ্জে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের উপর বড় ধরনের নাশকতা ঘটানোর পায়তারা করছে এই জনি মল্লিক ওরফে-‘ফেনু জনি’ নামে খ্যাত এই কুখ্যাত মাদক, আগ্নেআস্ত্র ও শীর্ষ সন্ত্রাসী । বিএনপির এই শীর্ষ সন্ত্রাসী মুন্সীগঞ্জ ও নারায়নগঞ্জ জেলা নিয়ন্ত্রন করছেন পুলিশ-প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এমনটাই অভিযোগ গোয়েন্দাদের। আর এ কারণেই মুন্সীগঞ্জের পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জে থেকে মুন্সীগঞ্জে মাদকদ্রব্য যেমন-ইয়াবা, ফেন্সীডিলসহ অত্যাধুনিক অস্ত্রের পাচার করা সহজ হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থা গুলো।

তবে এ প্রসঙ্গে  মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেনকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধীকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে ফোন রিসিভ করেননি।