শেখ মোহাম্মদ রতন, জুয়েল রানা ও তুষার আহমেদ:-০৪-০২-১৯:
মুন্সীগঞ্জ শহর ঘেষা ধলেশ্বরী নদী। নদীটি ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর সাথে মিলিত হয়ে পূর্বদিকে জেলার গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর মোহনায় গিয়ে শেষ হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য মেঘনা নদীটি চাঁদপুর জেলার মহনপুর পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ জেলার আওতাধীন। নদীতে ময়লা আবর্জনা আর দুই পাড়ে অবৈধ দখলদারদের দৌরাত্বে ধলেশ্বরী নদীটি ক্রমশোই ছোট হয়ে আসছে। নদীপথে ঢাকা যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম ধলেশ্বরী ও মেঘনা নদী। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শতশত লঞ্চের পাশাপাশি হাজার হাজার মালবাহী জাহাজ, স্টিমার, কার্গো, বালুভর্তি বাল্গহেড চলাচল করে। দখল আর দূষনের কারনে নানামুখী সমস্যার সৃষ্টি এই নৌ-রুটে।
মুন্সীগঞ্জ শহর ঘেষা ধলেশ্বরী ও মেঘনার নদীর দুই পাড়ে অবৈধ দখলদারদের কারনে নদী দু’টি ক্রমশই ছোট হয়ে আসছে। বিভিন্ন স্থানে প্রভাবশালীরা বাঁশ দিয়ে, মাটি ফেলে আবার কোথাও ময়লা ফেলে স্থাপনা তৈরী করেছে। কোথাও কোথাও নদীর তীরে গড়ে তুলেছে বিভিন্ন কলকারখানা ও ডকইয়ার্ড। পুরো ধলেশ্বরী নদীর বিভিন্ন স্থানে নোঙ্গর করা আছে মালবাহী কার্গো। এতে করে নদীপথে যান চলাচলে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় প্রতিনিয়ত। রয়েছে দূর্ঘটনার শঙ্কাও।
অন্যদিকে, মেঘনা নদীর মোহনার পাশে নামে বেনামে কিছু কোম্পানি নদী তীরের জমি দখল করে নিয়েছে। তাছাড়া জেলার ইসমানির চর, টানবলাকির চর, গজারিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদীতে বাঁধ ও পাড়ে বালু ভরাট করা হয়েছে। দখল করা হয়েছে সাধারন কৃষকদের জমি। তাছাড়া নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে প্রতিনিয়ত নদী দুষন হচ্ছে। ফলে নদীর মাছ এখন বিলুপ্তের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদরে নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন জানান, অচিরেই নদী দখল ও নদীতে দূর্ষন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কথা নয় নদী রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যামে নদীর তীরের অবৈধ দখল ও দূর্ষনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার অঙ্গিকার করেন এ কর্মকর্তা।