সমকালীন মুন্সীগঞ্জ ডেক্স:
মুন্সীগঞ্জের মেঘনায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় ট্রলার মালিক জাকির দেওয়ান কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলার পঞ্চবটী এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে কোর্টর মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হারুন অর রশীদ।
এদিকে, ট্রলার ডুবির ঘটনার ৬দিন পর মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাত ২ ব্যাক্তির ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকালে মেঘনা নদীর গজারিয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকা হতে একটি ও সাড়ে ১১টায় চাঁদপুরের মতলব লঞ্চঘাট হতে অপর আরেকটি মৃতদেহ উদ্ধার করে দুই থানার পুলিশ। গজারিয়ায় উদ্ধারকৃত মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জে জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে । অপরটি চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে উদ্ধারকৃত মৃতদেহটি মেঘনায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের নিখোঁজ কোন শ্রমিকের কিনা তা খাতিয়ে দেখছে পুলিশ ও ডুবে যাওয়া ট্রলারের উদ্ধার কাজের সংশ্লিষ্টরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গজারিয়া নৌ-ফারির ইনর্চাজ মিজানুর রহমান জানান, সকালে মৃতদেহটি নদীতে ভাসার খবর পেয়ে উদ্ধার করে মর্গে মাঠানো হয়েছে। মৃহদেহের সঠিক পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান সাদী জানান, গজারিয়া লঞ্চঘাট ও মতলব লঞ্চ হতে পৃথক ২টি ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে পৌঁছালে তখন হয়তো বুঝা যাবে মৃতদেহ ২টি আদৌ ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ব্যাক্তিদের কিনা।
উল্লেখ্য, সোমবার ভোর রাত ৩ টায় চাঁদপুরের মতলব উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা সিমান্তবর্তী কালিপুরা এলাকা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্যাংকারের ধাক্কায় ৩৪ শ্রমিক নিয়ে ডুবে যায় মাটি বোঝাই ট্রলারটি। ট্রলারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে ১৪ জন সাতঁরে তীরে উঠতে পারলেও ২০ শ্রমিক নিখোঁজ হয়। নদী সাঁতরে তীরে উঠা শ্রমিকদের বরাত দিয়ে গজারিয়া নৌপুলিশ জানায়, মাটি নিয়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দিকে যাচ্ছিলো ট্রলারটি। নিখোঁজ ২০ জনের মধ্যে ১৮ জনের পরিচয় মিলেছে। তাদের বাড়ি পাবনার ভাংগুড়া উপজেলায়।